নিউজ




মজুদ্দির বাজার এখন তালশহর নতুন বাজার

পুরাতন ব্যবসায়িকদের বিশেষ স্মৃতি চারন


বাঙ্গালীর একুশে প্রতিবেদন: তালশহর নতুন বাজার অত্র এলাকর একটি ঐতিহৃবাহী বাজার। শুক্র সোম বার এই দুই দিন বাজারের হাট বসে। বিশেষ করে, বাঁশ, মাছ, মোরগ, কবুতর, নৌকা সহ নানান পণ্য সামগ্রীর জন্য অত্র এলাকায় অনেক পূর্ব কাল থেকেই বাজারটি প্রসিদ্ধ। আজ থেকে ৭৬ বছর আগে ত্রিশের দশকের শেষ দিকে  মাত্র তিনটি দোকান দিয়ে তালশহর হাইস্কুলের অফিস বিল্ডিং এর জায়গাটিতে এই বাজারটি যার হাত ধরে প্রথম যাত্রা শুরু করেছিল তার নাম হাজী আব্দুল মজিদ। সবাই তাকে মজুদ্দি হাজী বলেই ডাকতেন। তখন বাজারটি মজুদ্দির বাজার হিসেবেই সবার কাছে পরিচিত ছিল। এখন আর এই নামটি কারো মুখে শুনা যায় না। কালের বিবর্তনে বাজারের নাম পরিবর্তন হয়ে এখন এর নাম হয়েছে- তহালশহর নতুন বাজার। বর্তমানে বাজারের কলেবর অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। পূর্ব , পশ্চিম দক্ষিণ দিকে বাজারটি অনেক সম্প্রসারণ হয়েছে। গড়ে ওঠেছে নতুন নতুন মার্কেট, প্লাজা অত্যাধুনিক দোকানপাট। বিশেষ করে যোগাযোগ ব্যবস্থার যুগান্তকারি উন্নয়ন, ইউনিয়ন ব্যাংকের একটি পূর্ণাঙ্গ শাখার বিরামহীন কার্যক্রম এবং প্রোয়জনীয় সকল পণ্যেরই দোকান থাকায় এটি বর্তমানে একটি আধুনিক বাজারে পরিনত হয়েছে। ৭৬ বছর আগের তিনটি দোকান এখন ২৭৬টি দোকানে পরিনত হয়েছে সাথে আছে মাছ, তরকারি, মাংশ, শুটকি, মশল্লা, কলা, বাঁশ, পান- সিগারেট ও সিজনাল ফল ও বিভিন্ন পণ্যের খুলা বাজারের প্রায় শতাধিক ব্যবসায়িক। সাপ্তাহিক শুক্র ও সোমবারের হাটের দিন বিভিন্ন জায়গা থেকে মাছ মারার জাল, আইডা, হাঁস, মোরগ, কবুতর,  লুঙ্গী, গামছা, তরিতরকারি ও বিভিন্ন ধরের ফলমূল সহ ফসলি বীজ নিয়ে আসে শতাধিক ব্যাপারি। সাপ্তাহের এই দুইদিন বরাবরের ন্যায় বাজারটি অনেকদিন আগে থেকেই খুব জমজমাট। শুরু থেকেই এই বাজারটি ছিল চা-ষ্টল নির্ভর । যে তিনটি দোকান দিয়ে বাজারটি যাত্রা শুরু করেছিল সেই তিনটি দোকানের দুইটিই ছিল চা-ষ্টল। এখন আর  বাজারটিকে চা-ষ্টল নির্ভর বাজার বলা না গেলেও বিভিন্ন জায়গা থেকে আগত লোকজনের সাথে অত্র এলাকার মানুষের সকাল-বিকাল জমজমাট আড্ডা থাকে বাজারের ৩০টি চা-ষ্টলে। বাজারের অলংকার দুইটি ঐতিহৃবাহি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এর একটি হল তালশহর এ,এ,আই উচ্চ বিদ্যালয়।
তালশহর এ, এ, আই উচ্চ বিদ্যালয়ের এই জায়গাটিতেই প্রথম তালশহর নতুন বাজারের কার্যক্রম শুরু হয়েছিল ৭৬ বছর আগে। বর্তমানে এর অধিকাংশই পাশের কুড়ের গর্ভে বিলিয়ে গেছে, বিলিয়ে গেছে অত্র এলাকার বিশাল খালার মাটটিও।

 ব্রাহ্মণবাড়িয়া পশ্চিম অঞ্চলের একসময়ের একমাত্র হাইস্কুল। ১৯৪০ সাল স্কুলটির প্রতিষ্ঠা কাল। অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি হল তালশহর করিমিয়া ফাজিল মাদ্রাসা।
তালশহর করিমিয়া ফাজিল মাদ্রাসা: বাজার প্রতিষ্ঠার পাশা পাশি আব্দুল হামিদ মৃধা এই মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি তালশহর নতুন বাজারের প্রতিষ্ঠাতাদের একজন ছিলেন।


 বাজারের প্রতিষ্ঠাতাগণ এবং বাজারের প্রতিষ্ঠাকালিন সময়ের দোকান বা ব্যবসায়িক এখন আর তেমন কেউ বেঁচে নেই। তবে দুই জন্য ব্যবসায়িককে খুঁজে পাওয়া গেছে যারা বাজার প্রতিষ্ঠাকালিন সময়ে বাজারের ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলেন। এই দুইজন হলেন (১) আব্দুল জব্বার (হাসু খলিফা) একসময়ের নামকারা খলিফা। তিনি তালশহর বাজারে শুরুতেও খলিফা এখনও খলিফা পেশা বদলাননি। তবে বর্তমান নতুন প্রজন্মের খলিফাদের মাছে এখন উনাকে খুঁজে পাওয়া অনেক কষ্টের ব্যাপর।  (২) শাওন হার্ডওয়্যারের প্রোপ্রাইটর মো: জহিরুল ইসলাম। তিনি তালশহর নতুন বাজারের প্রতিষ্ঠাকালিন চা-ষ্টল ব্যবসায়িক মোতালিব মিয়ার ছেলে। তখন বাবার সাথে তিনিও চা-ষ্টল ব্যবসার সাথে ছিলেন পরে নিজেও অনেকদিন চা ষ্টল চালিয়ে এখন হার্ডওয়্যার ও রকমারি পণ্যের দোকান দিয়েছেন। এছাড়া আরো কয়েকজন পুরাতন ব্যবসায়িক আছেন যারা বিগত ৪০ বছর যাবৎ এই বাজারে ব্যবসা করে আসছেন এবং উত্তরাধিকার সূত্রে বাজারটির প্রতিষ্ঠালগ্নের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এখনও ধরে রেখেছেন।
যাইহোক, বাজারের পূর্ণঙ্গ ইতিহাস লেখা আমাদের কাজ নয়। আমাদের কাজ হল আধুনিক বিশ্বের উপযোগী করতে তথ্য প্রযুক্তির আওতায় বাজারটিকে নিয়ে আসা। তারপরও আমরা বাজারটি সম্পর্কে মৌলিক কিছু ধারনা পাওয়ার জন্য পুরাতন ব্যবসায়িকদের কিছু স্মৃতি চারণ তুলে ধরছি।
 
() হাসু খলিফা:


 আসল নাম আব্দুল জব্বার (হাসু খলিফা), পিতা: আব্দুল হামিদ সরকার, গ্রাম: নাওঘাট।
 
বাজার সম্পর্কে সরাসরি বক্তব্য: ‘এটা ছিল প্রথমে মইজুদ্দি হাজীর বাজার। মইজুদ্দি হাজীই এই বাজারটিকে (অক্করে ফইল্লা) সর্ব প্রথম জমাইবার কাজ শুরু করে এবং বাজারটি প্রতিষ্ঠা করে। অত্র এলাকার সবাই মইজুদ্দির বাজার বলেই ডাকত এবং প্রথম দিকে এই নামটা দিয়েই বাজারটা পরিচিত ছিল। এখন পুরাতন মানুষ যারা আছে তারা কিছু বলতে পারবে। নতুন যারা এই নামটা তারা শুনচ্ছেই না। আমি বাজারের শুরু থেকেই এই বাজারের ব্যবসা বাণিজ্য সহ বিভিন্ন কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট ছিলাম। আগের পুরাতন ব্যবসায়িকগণ এখন আর নাই। এই বাজারের  আগের উল্লেখ্যযোগ্য ব্যবসায়িকদের মধ্যে ছিল () জয়দর মিয়া: বিড়ির ফ্যাক্টরী ছিল, বিভিন্ন জায়গা থেকে লোকজন এসে বিড়ি বানাইত () ইউসুফ আলী () আব্দুর রসূল মৃধা () নান্নু মিয়া () ভাইস চেয়ারম্যান শহিদ মিয়া () তারনি খলিফা () সুক্কর খলিফা () আহম্মদ আলী ডাক্তার () জলু চা ষ্টল (১০) আশরাফ আলী কমান্ডার। তাদের সাথে আমি ব্যবসা করেছি।’
 
()ডা. আবু আব্দুল্লাহ: 





প্রোপ্রাইটর: সুলতান উদ্দিন হোমিও হল, পিতা: সুলতাল উদ্দিন, গ্রাম: বড়তল্লা।

সরাসরি বক্তব্য: আমি এই বাজারে আছি প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ বছর হবে। তখন জয়দর ভাইয়ের বিড়ির ফ্যাক্টরি ছিল। হাসু খলিফাকে আমরা ছোট সময় থেকেই দেখেছি। উনি এখনও আছেন। আমার মনে হয় উনিই এই বাজারের জীবীত একমাত্র পুরাতন ব্যবসায়িক যিনি এখনও এই বাজারে আছেন। তখন বাজার ছিল এক রকম এখন অন্য রকম। সময়ের সাথে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। তবে আগে নয়া চারতলার বাজার, মইজুদ্দি হাজীর বাজার, নতুন বাজার এই নামেই মানুষ ডাকত। তালশহর বাজার বলতে তখন পুরাতন বাজারকেই বোঝাত।’
 


() মো: জহিরুল ইসলাম:  

প্রোপ্রাইটর: শাওন হার্ডওয়্যার, পিতা: আব্দুল মোতালিব, গ্রাম: তালশহর।

সরাসরি বক্তব্য: তালশহর নতুন বাজারের ব্যবসা শুরু এবং নতুন বাজারের পূর্বের অবস্থা, বাজারের প্রতিষ্ঠা এবং বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে স্মৃতি চারন করতে গিয়ে শাওন হার্ডওয়্যারের প্রোপ্রাইটর মো: জহিরুল ইসলাম বলেন,“যার আন্তরিকতা  এবং অক্লান্ত পরিশ্রমে তালশহর নতুন বাজারটি অনেক প্রতিকূলতার মধ্যদিয়ে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছেন  উনি হলেন, হাজী আব্দুল মজিদ ডাক নাম মইজুদ্দি। আনুমানিক ১৯৩০ থেকে ৩৫ সালের দিকে বাজার প্রতিষ্ঠার প্রথম উদ্যোগ নেন তিনি। প্রথমে বাজারের কার্যক্রম শুরু হয় তালশহর হাইস্কুলটি যেখানে আছে সেই জায়গায় থেকে ৫টি দোকান দিয়ে। বাজারটি প্রতিষ্ঠা লগ্নে উনার সাথে অন্যান্য প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে অন্যতম ছিল ()আব্দুল হামিদ মৃধা () মো: খলিল উদ্দিন () আব্দুর রসূল () জারু শেখ। এছাড়া আরো অনেকেই তখন হাজী আব্দুল মজিদ (মইজুদ্দি) এর সাথে থেকে বাজারটি প্রতিষ্ঠা করেছেন। সবার নাম আমার জানা নেই। তখন পোষ্ট অফিস ছিল তালশহর পুরাতন বাজারে, হাজী আব্দুল মজিদই প্রথম এই বাজারে পোষ্ট অফিসটি নিয়ে আসে। এই বাজারটি প্রতিষ্ঠাকালিন সময় তখনকার তালশহরের প্রভাবশালীদের বিরোধীতা চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা করেই তাদেরকে কাজ করতে হয়েছে। বিশেষ করে বড়তল্লা, তারুয়া, নাওঘাট খাড়াসার গ্রামের বিশিষ্ট্য লোকদের সহযোগীতা এবং সমর্থনের কারণেই তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে 
() আনোয়ার-আনু:


প্রোপ্রাইটর: রাতুলরাহুল মিষ্টান্ন ভান্ডার, পিতা: কিনু মিয়াজি, গ্রাম: তারুয়া


সরাসরি বক্তব্য: আমাদের এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি তালশহর নতুন বাজার প্রতিষ্ঠা লগ্নের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। আগে এটি চা-ষ্টল ছিল। এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা আমার দাদা মগল হোসেন। মগল হোসেনের পিতা ছিল মোজহার মুন্সি। মোজহার মুন্সি আশুগঞ্জ বাজারের ১১জন প্রতিষ্ঠাতার একজন ছিলেন। আমার দাদার সাথে আমার বাবা কিনু মিয়াজি সারা জীবনই এই বাজারে ব্যবসা করে গেছেন। আমি আমার বাবার কাছ থেকে শুনেছি মইজুদ্দি হাজীর নেতৃত্বে বড়তল্লা, তারুয়া, নাওঘাট খাড়াসার গ্রামের বিশিষ্ট্য মাথাব্বরদের সহযোগিতায় এই বাজারটি গড়ে ওঠে। তখন মইজুদ্দি হাজী ব্যবসায়িকদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে তাদেরকে দোকানদারি করার জন্য বাজারে নিয়ে আসতেন।’ 








নিরাপত্তা ও উন্নয়ন কমিটির সংকটে
তালশহর নতুন বাজার


বিস্তারিত পরিচিতি: হাজী আমির হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান, আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালকহাজী আবু সামা প্লাজামোবাইল: ০১৭১৩-৬১৩৫৯৫ : পিতা: হাজী আবু সামা, গ্রাম: তালশহর নাগর বাড়ী।
 
বাঙ্গালীর একুশে কর্তৃক ধারনকৃত সরাসরি বক্তব্য: তালশহর নতুন বাজারের সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে মতামত প্রকাশ করতে গিয়ে আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হাজী আবু সামা প্লাজার ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাজী মো: আমির হোসেন বলেন, বাজারের উন্নয়ন ভালই হয়েছে। বিশেষ করে ইউনিয়ন ব্যাংক প্রতিষ্ঠার পর থেকে বাজারের  উন্নয়নে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। এখন আর আমাদের অত্র এলাকার মানুষদের কোনো ব্যাংক সার্ভিস পাওয়ার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া বা আশুগঞ্জ যেতে হয় না। বেশ সুনামের সাথেই ব্যাংকটি সার্ভিস দিয়ে আসছে। এছাড়া বাজারের ভিতরের মাছ, শুটকি ও  শবজি বিক্রেতাদের কাচা বাজারটি পাকা হয়েছে এবং রাস্তাঘাট যোগাযোগ  ব্যবস্থা আগের তুলনায় অনেক ভাল হয়েছে। গত ১০ বছরে বাজারটির এক যুগান্তকারি পরিবর্তন সাধিত হয়েছে।
 
নিরাপত্তা :  অনেক উন্নয়ন হলেও বাজারের নিরাপত্তা ব্যবস্থাটি এখনও একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে রয়েছে। হরহামেসাই ঘটে যায় দোকান চুরির ঘটনা। এটি নিয়ে আমাদের প্রায়ই বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়তে হয় এর জন্য আমি বর্তমান বাজার সমিতির গাফলতিকে দায়ি করব। তারা তাদের দায়িত্বে বাজারের সাধারণ ব্যবসায়িকদের কাছ থেকে চাঁদা নিয়ে দারুয়ান রাখার ব্যবস্থা করেছে। প্রতি মাসেই তারা বেশ ভাল পরিমানের টাকা ব্যবসায়িকদের কাছ থেকে নেয় কিন্তু পর্যাপ্ত দারুয়ানের ব্যবস্থা তারা করছে না। এছাড়াও  আমরা বেশ কিছু দিন যাবৎ উক্ত সমিতির অনেক অনিয়ম লক্ষ্য করে আসছি। তারা ব্যবসায়িকদের কাছ থেকে যে টাকা তুলে তার কোনো হিসেব তারা দেয়না। কোন কাজে কি পরিমান টাকা তারা খরচ করেছে তার কোনো ব্যাখ্যা সাধারণ ব্যবসায়িকদেরকে তারা দেয় না।  আসলে তারা তালশহর নতুন বাজার সমিতি নাম দিয়েছে কিন্তু আসলে এটি তাদের ব্যক্তিগত সমিতি এবং তারা সাধারণ ব্যবসায়িকদের টাকা নিজেদের কাজে তারা ব্যবহার করে আসছে। তারা সবসময় থাকে তাদের জমাকৃত টাকা তাদের নিজেদের লোকদের মাঝে সুদে লাগানোর  ব্যবসায়। তারা যদি বাজার কমিঠির দায়িত্ব পালন করত তাহলে তাদের দ্বারা বাজারের উন্নয়ন মূলক কাজগুলো হত। বৃষ্টি হলে বাজারে পানি লেগে থাকে। তারা বলতে পারবে না এ পর্যন্ত বাজারের সাধারণ ব্যবসায়িক এবং বাজারের উন্নয়নে একটি টাকা খরচ করেছে বা কিছু করেছে। তারা তাদের নিজেদের মত করে একটি সমিতি বানিয়েছে নাম দিয়েছে তালশহর নতুন বাজার সমিতি আবার বাজারের ব্যবসায়িকদের কাছ থেকে টাকা তুলছে বাজার কমিটির পরিচয় দিয়ে। তাদের গাফলতির কারণেই বাজারের
অনেক উন্নয়ন হচ্ছে না।
প্রতিটি বৈধ গণতান্ত্রিক  সমিতির সাধারণ নির্বাচনের ব্যবস্থা থাকে। কিন্তু তারা কোন নির্বাচনে না গিয়ে নিজেরাই সভাপতি সেক্রেটারি হয়ে বসে থাকে। এছাড়া বাজারের অনেক পুরাতন নতুন ব্যবসায়িক আছেন যাদেরকে তারা উক্ত সমিতির সদস্য বানাচ্ছেন না। সমিতি চালাচ্ছেন নিজেদের জমিদারি হিসেবে। সমিতির নাম দিয়ে কত টাকা তুলা হচ্ছে? কি খাতে কত টাকা খরচ হচ্ছে তার কোন হদিসই নাই। তরা কয়েকজন মিলে এই টাকা তছনছ করছে।
বাজারের ব্যবসায়িকদের প্রতি আমার পরামর্শ আপনারা বাজার উন্নয়নের জন্য একটি বাজার কমিটি গঠন করুন এবং তাদের মাধ্যমে বাজারের বিভিন্ন সমস্যা গুলো সমাধানের ব্যবস্থা করুন। কোনো সমিতির মাধ্যমে নয়। সমিতির কাজ হল সুদের উপর টাকা খাটানো, বাজারের উন্নয়ন নিরাপত্তা তাদের কাজ নয়।


 


বাঙ্গালীর একুশে রিপোর্ট: মায়ের দোয়া রিক্সা গ্যারেজে গত ১৩ মে ২০১৬ রোজ শুক্র বার রাত আনুমানিক ২টার দিকে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছিল। এতে দোকানের ১৪টি রিক্সা সহ দোকানের সকল মালামাল ক্যাশের নগদ টাকা পুরে ছাই হয়ে যায়। মোট ক্ষয় ক্ষতির পরিমান আনুমানিক ১৫ লক্ষ টাকা। এই প্রতিষ্ঠানটির প্রোপ্রাইটার 

 মো: শাহজাহান মিয়া বাজারের একজন পুরাতন ব্যবসায়িক। তিনি গত ২০ বছর যাবৎ তালশহর নতুন বাজারে ব্যবসা করে আসছেন। তিনি তালশহর নতুন বাজার বহুমুখী সমবায় সমিতির একজন সক্রিয় সদস্য। এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি উনার একমাত্র চলার অবল্বন। নিজ ব্যবসা নিয়ে বাজারের এই প্রবিন ব্যবসায়িক খুবই কষ্টে পুরে যাওয়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি গোছাতে প্রাণ পন চেষ্টা করে যাচ্ছে। বাঙ্গালীর একুশের পক্ষ থেকে মো: শাহজাহান মিয়ার বর্তমান অবস্থা জানতে চাইলে তিনি মনে ক্ষোভ কষ্ট প্রকাশ করে বলেন,“আমি বাজার সমিতির একজন সক্রিয় সদস্য হওয়া সত্বেও বাজার সমিতির কোন আর্থিক সহযোগিতা পাইনি এবং ইউনিয়ন পরিষদের ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে এবং নিয়মিত তা নবায়ন করে ব্যবসা করে আসছি। কিন্তু আমার এই বিপদের সময় কাউকেই আমি পাইনি। বাজার সমিতির দায়িত্ব কি? ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেম্বারদের দায়িত্ব কি? সমাজের নেতাদের দায়িত্ব কি তা আমি বোঝি না!!
 
 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন